ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বিপদ কেটে গেছে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ফণীর বিপদ কেটে গেছে। তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’
ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঝড়ে বরগুনা, ভোলা ও নোয়াখালীতে মোট চারজনের মৃত্যু এবং বিভিন্ন জেলায় ৬৩ জন আহত হয়েছে।
প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণেই তাদের প্রাণহানি ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা, নগদ টাকা কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকা ১৬ লাখের বেশি মানুষ শনিবার বিকেল নাগাদ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএ-০২/০৪-০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)