বিমান বাংলাদেশ দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি

মিয়ানমারের ইয়াংগুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট দুর্ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ।

তিনি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরীকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ ও এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে কমিটি।

বুধবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বিজি-০৬০ উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে যাত্রা করে।

কানাডার বোম্বার্ডিয়ারের তৈরি ড্যাশ-৮ বিমানটিতে এক শিশুসহ ২৯ যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন দু’জন পাইলট এবং দুই ক্রু। উড়োজাহাজটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বুধবার জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনিসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তিনি জানান, ১৯ জনকে ইয়াঙ্গুনের প্রধান হাসপাতালে এবং ১০ জনকে বিমানবন্দরের কাছে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। আশা করা হচ্ছে তারা দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

মিয়ানমার টাইমস জানায়, উড়োজাহাজটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর সামনের অংশ অনেকটাই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ঢাকায় জানানো হয়।

এদিকে ইয়াংগুনে আহত আরোহীদের আনতে সেখানে যাওয়া বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটির কোনো যাত্রী ছাড়াই দেশে ফেরত এসেছে।

বুধবার রাতে ফ্লাইটটি সেখানে যায়। বৃহস্পতিবার ভোররাত পাঁচটার দিকে এটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাকিল মেরাজ বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরে এসেছে। তারা অপেক্ষমাণ যাত্রী ছিলেন। যারা দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, তাদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি চারজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। অনেক আনুষ্ঠানিকতার বিষয় আছে। সেগুলো সম্পন্ন করে দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীদের আনা হবে।

বিএ-০৩/০৯-০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)