নদী দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঢাকার চারপাশের চারটি নদী দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। নদী দখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে বাধাদানকারীদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।

শনিবার ঢাকার আবদুল্লাহপুরে তুরাগ নদ ও তীরভূমি থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা দূষণের ফলে ঢাকা শহরের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা বিদেশিদের দেখাতে পারি না। বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীতীরে সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে ও ইকোপার্ক স্থাপনসহ সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গাকে ব্যবহারোপযোগী নদী হিসেবে উপহার দিতে পারব।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনসচেতনতা প্রয়োজন। দখলবাজরা অনেক প্রভাবশালী। নদী যাতে পুনরায় দখল হতে না পারে, সেজন্য সব মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় নদীমাতৃৃক বাংলাদেশের পরিচয় হয়েছিল জঙ্গি, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক রাষ্ট্র হিসেবে। ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে কলঙ্ক থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নদী দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। মিডিয়ার সুবাদে দেশের ১৬ কোটি মানুষ এ পদক্ষেপকে সমর্থনও দিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ, কলামিস্ট-পরিবেশবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।

বিএ-০৩/২২-০৬ (জাতীয় ডেস্ক)