লতিফ সিদ্দিকীর জামিন কেন নয়

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) করা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জামিনের বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এদিন লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম ও উমর ফারুক।

এর আগে জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ আজকে আদেশ দেবেন বলে ঠিক করে আদেশ দেন।

এর আগে গত ২০ জুন জামিন নামঞ্জুর করে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বগুড়ার একটি আদালত। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি জমি বিক্রি করে প্রায় ৪১ লাখ টাকা ক্ষতি করা-সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালত এ আদেশ দেন।

এরপর থেকে কারাগারে আছেন লতিফ সিদ্দিকী। কারাবন্দি সাবেক এ মন্ত্রীকে ৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর রাতে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় পাটকলের প্রায় আড়াই একর জমি দরপত্র ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অপর আসামি হলেন ওই জমির ক্রেতা বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ।

বিএ-০৬/০৭-০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)