রফতানির জন্য মাছ উৎপাদনে বৈশ্বিক মান নিশ্চিত করুন

রফতানির জন্য মাছ ও মাছজাত পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ জলাধারগুলোতে মাছ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর স্থান অর্জন করতে পারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকাতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে রফতানির জন্য মাছ ও মাছজাত পণ্য উৎপাদনে গুণগত মান বজায় রাখা অপরিহার্য। খবর ইউএনবির

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় মাছ ও মাছজাত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য দেশে ভালো কোনো পরীক্ষাগার ছিল না। কিন্তু মাছ ও মাছজাত পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য তার সরকার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আইএসও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত তিনটি পরীক্ষাগার স্থাপন করেছে।

ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে মাছগুলো আমরা রফতানি করবো, তা গুণগত মানসম্পন্ন হতে হবে, যাতে সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মাছ রফতানিতে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, চিংড়ি রফতানিতে এক সময় স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার আবার চিংড়ি রফতানি শুরু করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মাছের উৎপাদন ৫৮.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৪.২৭৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তবে শুধু ৪.২৭৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করেই থেমে থাকলে চলবে না, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে মাছের উৎপাদন ৪.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বৃদ্ধি করা।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুসারে অভ্যন্তরীণ জলাধারে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

‘বাংলাদেশ একটি নদী মার্তৃক দেশ। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে আমরা তিন নম্বর থেকে উঠে এসে এক নম্বর (বিশ্বের) স্থান দখল করবো’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘জাতীয় মৎস্য পুরস্কার ২০১৯’ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে দেশের মৎস্য খাতের সফলতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব মো. রাইসুল আলম মন্ডল। আর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাসচিব আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক।

এসময় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে কেআইবি প্রাঙ্গনে মৎস্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএ-০৬/১৮-০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)