ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু বুধবার

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শেষ হয়েছে ২ আগস্ট। অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ২৯ জুলাই। যারা ২৯ জুলাই টিকিট সংগ্রহ করেছেন তারা পেয়েছে ৭ আগস্টের টিকিট। সে অনুযায়ী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনে ঈদযাত্রা।

অন্যদিকে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি। মঙ্গলবার দেয়া হচ্ছে ১৫ আগস্টের টিকিট। একইভাবে যারা ৭ আগস্ট টিকিট সংগ্রহ করবেন তারা ১৬ আগস্ট, যারা ৮ আগস্ট টিকিট সংগ্রহ করবেন তারা ১৭ আগস্ট এবং যারা ৯ আগস্ট টিকিট সংগ্রহ করবেন তারা পাবেন ১৮ আগস্টের ফিরাতি টিকিট।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে ১০ দিন এবং পরে ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে ভিআইপিদের জন্য সেলুন সংযোজন করা হবে না। ১১ ও ১৪ আগস্ট ঢাকা-কলকাতা-ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা মেটানোর জন্য এক হাজার ৪৩৭টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রেলে প্রতিদিন দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ চলাচল করলেও ঈদের সময় তা বেড়ে প্রায় চার লাখ হবে।

ঈদ যাত্রা শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে কিন্তু যারা লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা ব্যস্ততার কারণে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি তারা ঈদযাত্রার ওইসব ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে।

কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, আসন স্বল্পতার কারণে যেসব যাত্রীরা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেনি। তাদের সুবিধার্থে ঈদযাত্রার শুরুর দিন থেকে প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্তঃনগরসহ চারটি স্পেশাল ট্রেনে দেয়া হবে স্ট্যান্ডিং টিকিট। তবে কোনো যাত্রীকেই ট্রেনের ছাদে এবার উঠতে দেয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করবো সিডিউল অনুযায়ী যেন সব ট্রেন চলাচল করতে পারে।

স্টেশন ম্যানেজার বলেন, বন্যার কারণে যেসব রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব রুট ঈদের আগেই মেরামত করা হবে। যদি ঈদের আগে সব রুট মেরামত করা না যায় তাহলে রুট পরিবর্তন করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

বিএ-০৩/০৬-০৮ (ন্যাশনাল ডেস্ক)