১০৮ জন কিনলেন ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক পদের মনোনয়নপত্র

ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বে স্থান পেতে রেকর্ডসংখ্যক নেতা মনোনয়নপত্র কিনেছেন। দুই দিনে মোট ১০৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৪২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৬ জন। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ছাত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এরা হলেন- বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের নাদিয়া পাঠান পাবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনসুরা আলম এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডালিয়া রহমান।

মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন রোববার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যাপক শোডাউন করেন। তাদের সঙ্গে আসা কর্মী-সমর্থক শিক্ষার্থীদের ভিড়ে নয়া পল্টনের কার্যালয় ‌‌‌খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’ স্লোগানে মুখর ছিল।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই দুই পদের নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে- যাতে সারা দেশের ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। মনোনয়ন ইচ্ছুক প্রার্থীরা ১শ’ টাকা মূল্যমানে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। প্রার্থীদের কাউন্সিল-২০১৯-এর তফসিলসহ একটি ফাইল দেয়া হয়। এতে মনোনয়ন ফরম, আবেদনপত্র, প্রার্থী যোগ্যতার নিয়মাবলী, আচরণবিধি, পুনঃতফসিলের কপি, প্রত্যয়নপত্র ও ভোটার তালিকা রয়েছে।

শনিবার ও রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়। মনোনয়নপত্র জমাদান ১৯ ও ২০ আগস্ট, বাছাই ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ আগস্ট এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩১ আগস্ট। প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের প্রচারণা ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।

এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ছাত্রদলের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি ও শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়।

রোববার মনোনয়নপত্র প্রদানের এই অনুষ্ঠানে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা: আসাদুল আলম টিটু, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মো. মামুন খান, সাজিদ হাসান বাবু, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, আমিনুল হাকিম মুন্সি, খলিলুর রহমান, আবু জাহান চৌধুরী হিমেল, এম আর আরজ আলী শান্ত, আল আমিন কাউসার, রিয়াজ মো. তানভীর রেজা, মো. ফজলুল হক নিরব, মো. আব্বাস আলী, তানভীর আহমদ খান ইকরাম, জসিম মোল্লা, মো. এহসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জুয়েল মৃধা, মাসুদ রানা, মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, হাফিজুর রহমান, এবিএম মাহমুদুল আলম সরদার, সোলায়মান হোসাইন, মো. সুরুজ মণ্ডল, মো. ইলিয়াছ, মো. আজিম উদ্দিন মেরাজ, ফজলুর রহমান খোকন, মাইনুল ইসলাম, মো. আবদুল মাজেদ, বিশ্বজিৎ ভদ্র, আল মেহেদি তালুকদার, সিহাবুর রহমান, এস এম আল আমীন, আবদুল হান্নান, মো. আলী হাওলাদার, এসএম আমিনুল ইসলাম, শামীম হোসেন, মো. আল আমিন, আরাফাত বিল্লাহ খান, মো. এরশাদ খান, নজরুল ইসলাম নাহিদ ও জসিম উদ্দিন।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যারা: সাইফ মাহমুদ জুয়েল, আমিনুর রহমান আমিন, মো. হাসান তানজিল হাসান, ইকবাল হোসাইন শ্যামল, মো. জোবাইর আল মাহমুদ রিজভী, শেখ আবু তাহের, ডালিয়া রহমান, মো. আলাউদ্দিন খান, এম এ কাইয়ুম, মশিউর রহমান রনি, এমদাদুল হক মজুমদার, মানসুরা আলম, মো. হামিদ সাজ্জাদ হোসেন, মো. নাঈম হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. তাবিবুর রহমান, এম সাখাওয়াত হোসাইন, মিজানুর রহমান সজীব, আজমীর হোসেন, শাহনেওয়াজ, মুন্সি আনিসুর রহমান, আবদুল মোমেন মিয়া, নাজমুল হক হাবিব, আনিসুর রহমান সুমন, এবিএম জহিরউদ্দিন সোহেল, এন রাকীব জুয়েল, মিজানুর রহমান শরীফ, মো. ওমর ফারুক হিমেল, রিয়াদ মো. ইকবাল হোসেইন, একরামুল হাই নাঈম, ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, মো. আবদুল মান্নান, মো. জামিল হোসেন, মো. আবুল হাসান চৌধুরী, এএএম ইয়াহিয়া, নুরুল ইমরান মজমুদার শিশু, মো. মহিন উদ্দিন রাজু, রাকীবুল ইসলাম রাকিব, আরিফুল হক, আজিজুল হক সোহেল, রাশেদ ইকবাল খান, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, মাজেদুল ইসলাম রুম্মন, মাহমুদুল আলম শাহিন, মো. ইউসুফ কামাল জনি, বাবুল আখতার শান্ত, মো. মিজানুর রহমান, নাদিয়া পাঠান পাবন, জাকিরুল ইসলাম জাকির, আশিকুর রহমান সুমন, মো. জহিরুল ইসলাম দিপু, মো. আল মামুন, মো. সাইদুর রহমান সোহেল, মাহতাব উদ্দিন জিমি, জুলহাস উদ্দিন, আতাউর রহমান, কেএমএস মুসাব্বির, কাজী মাজহারুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবুল বাশার, আশরাফুল আলম ফকীর লিংকন, আসাদুজ্জামান, সাদেকুর রহমান সাদিক, আশরাফুল আলম, দেলোয়ার হোসেন ও সুলায়মান হোসাইন।

বিএ-১৭/১৮-০৮ (ন্যাশনাল ডেস্ক)