রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কঠোর হবে বাংলাদেশ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কঠোর হবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমরা এখন আরও জোড়ালোভাবে বলব- আমরা তোমাদের অনেক কথা শুনেছি। নাউ ইট ইজ ইউর রেসপন্সিবিলিটি।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকার ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা।

বাংলাদেশের কঠোর পদক্ষেপগুলো কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে যেভাবে কঠোর হওয়া যায়, সেই ভাবেই কঠোর হব।

রোহিঙ্গা সংকটের এই দায় জাতিসংঘ এড়াতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ নিশ্চয় এই দায় এড়াতে পারে না। জাতিসংঘ কিছুটা ব্যুরো করেছে।

অনেক দিন ধরে এই বিষয়টা, এই যে হিংসা-বিদ্বেষ গড়ে উঠছে, কিন্তু তারা সেটা সেইভাবে তুলে ধরে না। একদিনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে না।

এর আগে অনেক অনেক আলামত থাকে। তারা সেই আলামতে জোর দেন না। কিন্তু জোর দেয়া উচিত ছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান আমরা একটু শক্ত করব। এ ছাড়া চিন্তা-ভাবনা করছি আন্তর্জাতিক কমিশন যোগাড় করব। যারা বাংলাদেশে নয়, রাখাইনে কাজ করবে।

আমরা ইউএনএইচসিআর, আইওএমসহ যারা আছে তাদেরও আমরা বলছি- আমাদের এখানে থেকে লাভ নেই। তোমরা বরং রাখাইনে যাও, মিয়ানমারে যাও।

দ্বিতীয় দফায়ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এতে বাংলাদেশ আশাহত নয় বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রসেসটা কিন্তু এখনও চলছে। আমরা আশা করি- রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে। তাই আমরা আশাহত নই।

তবে মূল সমস্যা হচ্ছে- মিয়ানমার তাদের বিতারিত লোকগুলোর মধ্যে আস্থা জন্মাতে পারেনি। এটার তাদের রেসপন্সিবিলিটি।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করছে না। আমরা যা যা করা সব করেছি। তাদের ফেরত দিতেও আমরা তৈরি।

পরবর্তী পদক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারকে আবারও বলব- তোমরা অঙ্গীকার করেছ তোমাদের লোকদের ফেরত নেবে। এখন এর জন্য যা যা করা দরকার তা তোমরা কর।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আমাদের বন্ধু দেশ। এ ছাড়া সারা বিশ্বের আমাদের সব বন্ধু রাষ্ট্রকে আমরা বলব- আমরা অনেক চেষ্টা করেছি।

কিন্তু রোহিঙ্গারা কিছু দাবি তুলেছে, মিয়ানমারকে তার প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। এর সম্পূর্ণ দায় মিয়ানমারের।

বিএ-১৮/২৩-০৮ (ন্যাশনাল ডেস্ক)