জামালপুরের ডিসির আপত্তিকর ভিডিও : ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের সঙ্গে নারী অফিস সহকারীর আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়।

পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। সদস্যরা কেউ উপসচিব পদমর্যাদার নিচে হতে পারবেন না।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আদেশে কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এবং ভিডিওটি যাচাইয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবেন। কমিটিতে প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট মতামত দিতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়।

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন আহমেদ কবীর। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে রোববার (২৫ আগস্ট) আহমেদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সেখানে নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো পানিশমেন্ট (শাস্তি) তার (আহমেদ কবীর) হবে। আমাদের চাকরির বিধানে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে, সেটিই হবে। আমরা দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারব।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী উপসচিব আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

বিএ-০৭/২৫-০৮ (ন্যাশনাল ডেস্ক)