এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট থেকে পদত্যাগ করলেন ছাত্রলীগের সদ্য পদচ্যুত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক আহসান হাবিব কপিটি উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। ব্যক্তিগত কারণে সিনেটের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যকে বলেন, এ সম্পর্কিত একটি আবেদন পেয়েছি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভায় বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গেলো ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয় শোভন ও রাব্বানীকে।
ওই দিনই আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি-সম্পাদক।
এরপর থেকে একে একে তাদের অপকর্মের পর্দা ফাঁস হতে থাকে। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন শোভন-রাব্বানী।
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সহজ-সরল উল্লেখ করে তাকে ফাঁসানোর বলে দাবি করেছেন তার বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী।
শোভনের বাবা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে শোভন এরকম খারাপ ছিলো না। সে সাদাসিধে ও অত্যন্ত সরল প্রকৃতির ছিলো। আর এ কারণেই তাকে একটি চক্রের বলির পাঠা হতে হলো।
বিএ-০৮/১৬-০৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)