অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার নেপথ্যে ১১ নেপালি

ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার নেপথ্যে ১১ নেপালি। জুয়ার প্রশিক্ষণ, বিদেশি জুয়াড়ি সরবরাহ, অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন এরা।

তাছাড়া অনেকগুলো ক্যাসিনোর মালিক বনে বসেছেন ওই ১১ নেপালি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এরা অপরাধে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

জানো গেছে, বিনোদনকেন্দ্রের নামে সিঙ্গাপুর এবং লাস ভেগাসের আদলে রাজধানীতে গড়ে তোলা হয় এ ক্যাসিনো।

আলো ঝলমলে জাঁকজমকপূর্ণ জুয়ার আসরে প্রতিদিন চলতো কোটি কোটি টাকার লেনদেন। আর এসবের নেপথ্যে নেপালি জুয়াড়িচক্র।

সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১১ নেপালির হাত ধরে বাংলাদেশে ক্যাসিনোর বিস্তার। এদের মধ্যে রয়েছেন দিনেশ শর্মা, রাজকুমার, বিনোদ, দিনেশ কুমার, ছোট রাজকুমার, বল্লভ, বিজয়, সুরেশ পাটেল, কৃষ্ণা, জিতেন্দ্র, নেপালি বাবা।

এর মধ্যে দিনেশ শর্মা এবং রাজকুমারকে বাংলাদেশের ক্যাসিনো জগতের ডন বলা হয়ে থাকে। আর নেপালি বাবা, বল্লভ ও বিজয় ক্যাসিনো ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও সহায়তার কাজ করতো।

ঢাকাতে সক্রিয় বেশির ভাগ আধুনিক ক্যাসিনোর অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করেন এরা। অনেক ক্যাসিনোর মালিকও হয়ে গেছেন এরা।

মতিঝিলের দিলকুশা এবং এলিফ্যান্ট রোডের অ্যাজাক্স ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করে নেপালের নাগরিক রাজকুমার। মালিবাগের সৈনিক ক্লাবের নিয়ন্ত্রক সুরেশ ও জিতেন্দ্র।

র‌্যাব জানায়, বিদেশিরা বাংলাদেশে এভাবেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, কাস্টমসের গাফিলতি এবং প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে বিদেশিরা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।

অপরাধ বিশ্লেষক জিয়া রহমান বলেন, ‘আপনি যদি বিখ্যাত কেউ হন, আপনার ব্যাগ চেক হয় না। আপনার সিকিউরিটি চেক হয় না। এ রকম কোথাও হয় না।’

বুধবার ঢাকার বেশ কয়েকটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তার কাছে ক্যাসিনো ব্যবসা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএ-০৬/২০-০৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)