শিবির সন্দেহেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনালাপে জানা গেছে, শুধু শিবির সন্দেহেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আবরারকে।

এতে ছাত্রলীগের সকাল, মনির, তানভীর, জেমি, তামিম, সাদাত, রাফিদ, তোহা, অনিক সরকারসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মীর জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে মদ্যপ অনিক সরকার।

রোববার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফাহাদের ওপর চলে নির্যাতন। ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। তারা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, এহেতসামুল রাব্বি তানিম ও মুজাহিদুর রহমান।

তদন্ত কমিটির সদস্য আসিফ তালুকদারকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কেমিকেল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশিকুল ইসলাম বিটু মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানান।

বিটু বলেন, রাত আটটার দিকে মনির ও তামিম আবরারকে ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে আনে। এ সময় রুমে তাদের ব্যাচের আরও কিছু ছেলে ছিল। প্রথমেই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফেসবুকে দেয়া বিভিন্ন সময়ের স্ট্যাটাস পরীক্ষা করা হয়। চলতে থাকে নানা ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ।

শুরু হয় নির্মম নির্যাতন, চলে দফায় দফায়। মাতাল ছিল ১৫তম ব্যাচের অনিক। সেই সবচেয়ে বেশি মারধর করে আবরারকে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিস্তেজ হয়ে পড়লে সেখানেই পড়ে ছিল আবরার। এ সময় চিন্তিত হয়ে পড়ে মনির, সকাল ও তামিম। পরে তারা নিস্তেজ আবরারকে সিঁড়িতে রেখে আসে।

বিএ-১৯/০৮-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)