বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় আসামি সাদাতের স্বীকারোক্তি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম সরফুজ্জামান আনছারির আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

এর আগে ১৬ অক্টোবর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন আবরার হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভুঁইয়া পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। সাদাত বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপারার হাফিজুর রহমানের ছেলে।

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিএ-০৭/২২-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)