পত্রিকা ছাপায় ৫ হাজার, দেখায় দেড় লাখ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেকেই ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করে না, অথচ ডিএফপি থেকে রেট কার্ড নেয়। মন্ত্রী হয়ে আমি দেখেছি, এমনও পত্রিকা আছে যার ঢাকায় সার্কুলেশন ১ হাজার, সারাদেশে ৫ হাজার। অথচ সুবিধা নেয়ার জন্য ঘোষণা দেয় দেড় লাখ। তাদের এসব বন্ধ করে শৃঙ্খলায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকরা অনেক উপকৃত হতো। তবে মালিকরা অনেকেই এটা করছে না।

তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো আমাদের কাছে সার্কুলেশনের এক হিসাব দেয়, ট্যাক্স অফিসে আরেক হিসাব দেয়। সরকারি দুই দফতরের দুই হিসাব চলবে না। তাদের নজরদারি ও শৃঙ্খলায় আনা হবে।

হাসান মাহমুদ আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেয়, যা শুধু বাংলাদেশেই প্রচার হয়। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া ক্যাবল অপারেটররা বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালে দূরে রাখতো। আমরা ১-৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চ্যানেলগুলো ও পরবর্তীতে বেসরকারি চ্যানেলের সিরিয়াল করিয়েছি। তাদের যেভাবে শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে, একইভাবে পত্রিকাগুলোকেও শৃঙ্খলায় আনা হবে।

বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে পণ্য আমদানি না করে যারা বাজারে পণ্য বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এক সময় বেসরকারিভাবে বন্ডেড ওয়্যারহাউজের অনুমোদন ছিল না। সরকার তাদের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের পণ্য বাজারে চলে আসে। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। যেখানে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে আপনারা সেক্টর ধরে ধরে রিপোর্ট করেন তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো ফিগার আউট (বের) করতে সুবিধা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, ক্র্যাবের ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিএম তসলিম উদ্দিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।

আবুল খায়ের বলেন, ক্রাইম রিপোর্টাররা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। সাধারণত যারা রিপোর্ট করে প্রতিটা রিপোর্ট কারো পক্ষে ও কারও বিপক্ষে যায়। যাদের বিপক্ষে যায় তারা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করে। হয়রানির মামলা এড়াতে তথ্যমন্ত্রী দৃষ্টিপাত করার অনুরোধ জানান তিনি।

এছাড়া সাংবাদিকতা পেশায় অরাজকতা বন্ধে ও ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে তথ্যমন্ত্রীকে নজরদারির অনুরোধ করেন তথ্যমন্ত্রী। বক্তব্যে তিনি তথ্যমন্ত্রী দাবার গুটি চেলে ক্র্যাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

বিএ-০২/০৭-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)