ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দগ্ধ ১২ জন।
বুধবার বিকেলে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এই নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১২টা থেকে আজ ভোর ৪টার মধ্যে চিকিৎসাধীন ৮ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে মারা যান আরও চার জন।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরো ১৯ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয়ক ড. সামন্তলাল সেন।
মারা যাওয়া সবারই শরীরের বহিরাংশের প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছিল। তার সাথে শ্বাসনালীও পুড়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানান ড. সেন।
আর যারা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন, তাদেরও শ্বাসনালী দগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি শরীরের ৭০% থেকে ৯০% পুড়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন ড. সেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে জানান, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে।
বুধবার বিকেল চারটার দিকে কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় আগুন লাগে।
ঘটনার সময় শ্রমিকরা ভেতরে কাজ করছিলেন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে ভেতর থেকে ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসএইচ-১০/১২/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)