এবার সেই ক্যাসিনো খালেদের অন্যতম সহযোগী মোহাম্মদ আলী কারাগারে

ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত ও কারান্তরীণ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ খান ওরফে মোহাম্মদ আলীকে (৪২) গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থে‌কে খালেদের সহযোগী মোহাম্মদ আলীকে আটক করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড।

পরদিন তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তথ্য দেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।

গণমাধ্যমকে মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রেফতার মোহাম্মদ উল্লাহকে বুধবার আদাল‌তে তোলা হয়। সেখানে ফৌজদারি কার্য‌বি‌ধির ১৬৪ ধারায় খা‌লে‌দের টেন্ডারবা‌জিসহ যাবতীয় অপরাধ সম্প‌র্কে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেয় সে। এরপ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন মাননীয় আদালত।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানায়, দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে ক্যাসিনো অভিযানে আটক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ঘ‌নিষ্ঠ সহযোগী হি‌সা‌বে কাজ ক‌রে আস‌ছিলে মোহাম্মদ উল্লাহ খান। খালেদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে আ‌য়ের হিসাব প‌রিচালনা ও রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণ ক‌র‌তেন তিনি। তিনি খালেদের মা‌লিকানাধীন ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া ডে‌ভেলপার লিমিটেডের জিএম হি‌সে‌বে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সরকারের ক্যাসিনো অভিযান শুরু হলে গা ঢাকা দেয় মোহাম্মদ উল্লাহ। চলমান ক্যসিনো অভিযানের পুলিশি তল্লাশিতে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত ক্লাব ব্যবসার আড়ালে ঢাকাতে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদ।

ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি।

পুলিশি জিজ্ঞাসবাদে খালেদ জানিয়েছেন, অবৈধ আয়ের টাকা নিজের এবং স্ত্রীর নামে ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিনি গচ্ছিত রেখেছেন।

সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে তার তিনটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে। দেশি-বিদেশি ব্যাংকের এসব হিসাবে প্রায় ৩১ কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন তিনি।

বিএ-০৪/২৬-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)