ধর্ষণের জন্য কন্যাকে তুলে দেয়া অভাব-অসহায়ত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ধর্ষণের জন্য কন্যাকে তুলে দেয়া অভাব-অসহায়ত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে পাওনা টাকা মওকুফের বিনিময়ে মেয়েকে (১৩) ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবুল নামে এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণে সহায়তা করতেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ড. কামাল বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এমন ভয়ঙ্কর অবস্থায় গেছে যে, একজন পিতা হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দিয়েছেন পাওনাদারের হাতে। সরকার যখন উন্নয়ন ধরতে চাচ্ছে তখন মানুষের অভাব এবং অসহায়ত্ব কোন পর্যায়ে গেছে এ ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’

তিনি বলেন, অর্থনীতির খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ শেয়ারবাজারকে নানা কারসাজির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে সরকারের সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ী হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। সর্বস্ব হারিয়ে এখন পর্যন্ত দুজন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনাই করা যায় না। তাই সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। অতীতে আমরা লক্ষ্য করেছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। গত জাতীয় নির্বাচনে এসব পাইকারি হারে লঙ্ঘন হয়েছে।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুটি করে মোট চারটি পথসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করা এবং ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী গণসংযোগে বাধা ও হামলা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে। কারণ এর মাধ্যমে জনগণ রাস্তার মালিকানা নিশ্চিত করতে পারে। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া মালিকানা নিশ্চিত হবে না।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

বিএ-১২/১৬-০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)