যে কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল হককে হাইকোর্টে তলব

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে অব্যাহতি দেয়ায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওষুধসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর দুদক রাজধানীর শাহবাগ থানায় ১০টি মামলা করে।

৬ কোটি ৬৭ লাখ ২৬ হাজার ৩২৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এসব মামলায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদেরসহ ৮ জনকে আসামি করা হয় মামলায়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢামেক হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. ফজলুল্লাহ, সিনিয়র লেকচারার ডা. মশিউর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. কাজী এনামুল কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. আতিয়ার রহমান, সমাজসেবা অফিসার সাঈদা আখতার, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ডা. শতীনাথ বসাক ও মেসাস জাকিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকিয়া সুলতানা।

একটি মামলার আসামি ডা. মশিউর রহমানের অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিশন আবেদনের রুল শুনানির সময় দেখা যায়, মামলার টেন্ডার কমিটিতে থাকা গণপূর্তের সতীনাথ বসাক ও ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত সাঈদা আক্তারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন। এ ছাড়া তদন্তের সময় হিসাব রক্ষণের নজরুল ইসলাম নামে দুজনকে আসামি করা হয়।

বিএ-১৮/২২-০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)