এবারো জামিন পেলেন না খালেদা

এবারো জামিন পেলেন না জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

এর আগে এ মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি। তবে ওইদিন শুনানি অসমাপ্ত থাকে।

ওইদিন দুপুরে শুনানির একপর্যায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ পরবর্তী দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।

একইসঙ্গে বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

শুনানিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ বৃহস্পতিবারও সুপ্রিম কোর্টের চারপাশে ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়।

সর্বোচ্চ আদালতের প্রতিটি প্রবেশপথে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিচয়পত্র দেখে প্রত্যেককে সুপ্রিম কোর্টের ভেতর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টসহ আশপাশের এলাকায় মানুষের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ সদস্য।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হবে বলে দিন নির্ধারণ করেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন সকালে সময় ধার্য করা হয় দুপুর ২টা। দুপুর ২টায় শুনানি অসমাপ্ত রেখে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে তথা যুক্তরাজ্যের মতো দেশে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ৩০ এপ্রিল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরপর জামিনের আবেদনের ওপর এ আদালতে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে গত বছর ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ওই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া।

এ আবেদন গত বছর ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এই খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এ অবস্থায় নতুন করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়।

বিএ-০৮/২৭-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)