খালেদার মুক্তি নিয়ে দোটানায় বিএনপি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত চারবার জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে বিএপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। এরই প্রেক্ষিতে বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি।

বেগম জিয়ার পরিবার বলছে, তারা বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এক্ষেত্রে বেগম জিয়ার মতামতও দরকার।

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দুর্বলতায় আন্দোলনেও মুক্তি সম্ভব না। দুদক বলছে, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মুক্তির অন্য কোনো পথ নেই।

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে চেয়ে চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার জামিন খারিজের পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আইনজীবীরাও।

জামিন চেয়ে আবারো আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও সে প্রক্রিয়ায় সুফল পাওয়া নিয়ে সন্দিহান তারা।

বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানান, পরিবারে সবাই বসে কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন তারা। মতামত নিতে হবে বেগম জিয়ারও।

তিনি আরও জানান, তার (খালেদা জিয়া) শরীরে যা অবস্থা তাতে করে এখানে চিকিৎসা হচ্ছে না। এজন্য আমরা চিন্তা করছি। সেজন্য আমাদেরকে বসতে হবে, আলোচনা করতে হবে একটু সময় লাগবে।

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলছেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না। নেতৃত্বের দুর্বলতায় আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

তিনি এও বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করার একমাত্র মুক্তির পথ হলো গণ-উত্থান করা। যেকোনো সময়ে যেকোনো কারণে একটা গণউত্থান হবে এবং সেখানে কোন নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে না।

স্বাভাবিকভাবে গণ-উত্থান হয়ে যায়। সেই আশায় আমাদের করতে হবে। এছাড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।

দুদক আইনজীবীর দাবি, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মুক্তির অন্য কোনো পথ নেই। অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার যে বিষয় সেখানে একটা অপরাধ হয়েছে, একটা করাপশন হয়েছে। সেজন্য আইনে উনাকে সাজা দিয়েছেন। কাজেই আইনিভাবে তাকে মোকাবেলা করা ছাড়া সম্ভব না।

সব মিলিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আবারও আপিল বিভাগে জামিন আবেদন করা হবে নাকি সরকারের কাছে প্যারোল চাইবে পরিবার, সেটি জানার জন্য অপেক্ষা করতে আরও কিছুদিন।

বিএ-০৬/২৮-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)