বঙ্গবন্ধুর পলাতক তিন খুনির সন্ধানে পুরস্কার ঘোষণা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক তিন খুনির সন্ধানদাতাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের বাড়ির সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোবাবার সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের অনুরোধ করব- চিহ্নিত খুনিদের বাসার সামনে গিয়ে প্রতিমাসে একবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন এবং বলবেন এখানে খুনিরা থাকে। এর মাধ্যমে তাদের প্রতিবেশীরা জানবে যে সেখানে একজন খুনি থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গা ঢাকা দেওয়া তিনজন (খুনি) সম্পর্কে প্রবাসীদের বলব, আপনারা আমাদের তথ্য দিন। আপনাদের দেওয়া তথ্য সঠিক হলে আপনাদের পুরস্কৃত করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক যে খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে কানাডা। নুর চৌধরীর বিষয়ে কানাডায় আবার পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সেখানকার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ফেরত দেওয়া যায় না। তবে অন্য একটা আইনে আছে। ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে দেওয়া যায়। আমরা সেই সুযোগটা নিচ্ছি। আমরা বলেছি- সে সাধারণ খুনি নয়। সে জাতির জনককে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।’

রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, ‘সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে এবং ওয়ার্ক পারমিট নিয়েছে। আমরা এটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বুঝিয়েছি। তারা এটা পর্যালোচনা করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যখন তারা মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হবে, রাশেদ চৌধুরির নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।’

এ সময় বঙ্গবন্ধুর অন্য তিন খুনি খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন কোথায় আছে এ বিষয়ে জানা নেই বলে মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে তারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন পাসপোর্টে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’

এসএইচ-০৫/১৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)