দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন রাসেল

ইভ্যালিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন বলে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল।

ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ইভ্যালিকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর রাসেল কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা দেশীয় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ বিক্রি করে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। আর তা না হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে, এমন পরিকল্পনাও ছিল তার।

শেয়ার মার্কেটে ইভ্যালিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলের প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল- জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, তিন বছর পূর্ণ হলে তিনি শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হতেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি দায় মেটানোর অজুহাতে সময় নিয়েছেন, যা তার একটি অপকৌশল মাত্র।

র‌্যাব জানায়, মো. রাসেল পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবসা করে আসছিলেন। এই ব্যবসাটি একটি পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। তাছাড়াও প্রতিষ্ঠানে ছিল না কোনো জবাবদিহিতা। ফলে ক্রমান্নয়ে প্রতিষ্ঠানটির দায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বর্তমানে এই অচল অবস্থা সৃষ্টি। তাদের নেতিবাচক ব্যবসায়ী স্ট্র্যাটিজি উম্মোচিত হওয়ায় অনেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে সরে গিয়েছিল বলেও র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ব্যবসায়িক উত্তরণ নিয়ে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল নিজেও সন্দিহান ছিলেন। তবে উত্তরণ নিয়ে তিনি র‍্যাবকে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারেননি।

এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত রাসেল এবং নাসরিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এসএইচ-১১/১৭/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)