বাল্যবিয়ে থাকলে ভিজিডি সেবা বন্ধ

পরিবারের মধ্যে বাল্যবিয়ে থাকলে সরকারের ভিজিডি সহায়তা না দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুল আজিজ, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সাহাদারা মান্নান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভিজিডি কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে একটি সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম। দুস্থ পরিবার, বিশেষ করে নারীদের জীবনমান উন্নয়নে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

ভিজিডি উপকারভোগী নারীরা মাসে ৩০ কেজি চাল পান। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পান।

দেশের ৪৯৩টি উপজেলার চার হাজার ৫৭৯টি ইউনিয়নে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে এ কর্মসূচির মাধ্যমে চাল দেওয়া হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত মোট ৯১ লাখ ৮০ হাজার নারী ভিজিডি কর্মসূচির চাল পেয়েছেন।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরিবারে বাল্যবিয়ে আছে কিনা, তা দেখে সেসব পরিবারকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা দিয়ে মাঠপর্যায়ে চিঠি পাঠানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জয়িতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ওপরে দুটি তলা নির্মাণের লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মসূচি নিতে ফের সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো ফের চালু করার ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

এসএইচ-০৭/২৩/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)