ট্রেনে পাথর ছোড়াদের তথ্য দিলে মিলবে পুরস্কার

ঢাকা বিভাগে ৭৬টি পাথর মারা ঘটনা ঘটেছে আর এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে টঙ্গী ও ভৈরবে এলাকা বেশি ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাথর নিক্ষেপ রোধে সোমবার ঢাকার কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ ও স্টেশনে সভা করছে রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে।

দেশে চলন্ত ট্রেনের বিভিন্ন রুটে প্রায়ই ঘটে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। এতে যাত্রীদের আহত হওয়ার পাশাপাশি কখনো কখনো হয় প্রাণহানিও।

সম্প্রতি এ পাথর নিক্ষেপের বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। এমন পরিস্থিতি বেশকিছু কর্মসূচি নিয়েছে রেল সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতায় কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ রোধে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, বেশির ভাগ সময়ই রেলওয়ের পাশে বস্তি থেকে ছোড়া হয় পাথর। কারণ ওই বস্তিতে প্রায়ই উচ্ছেদ চালায় রেলওয়ে। পাশাপাশি খেলার ছলে ও পাথর মারে কেউ। তাই পাথর নিক্ষেপ বন্ধে আইন প্রয়োগের দাবি তাদের।

এক যাত্রী বলেন, যাত্রার সময় দেখেছি কখনো কখনো ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পাথর নিক্ষেপ করছে।
তেজগাঁও, টঙ্গী ও ভৈরব এলাকা বেশি ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান জানান, আমাদের আইনে আছে পাথর ছোড়ার কারণে ট্রেনের কোনো ক্ষতিসাধন হয়, যাত্রীদের ক্ষতি হয় তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেলওয়ের বিধানে আছে।

চলতি বছর পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করছে রেলওয়ে পুলিশ। পাশাপাশি পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।

সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন কেউ যদি পাথর ছোড়ার ছবি তুলে আমাদের পাঠাতে পারে বা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারে তাহলে আমরা এ সংবাদদাতাকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে চলন্ত ট্রেন ১১০ বার পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, এতে ট্রেনে গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টির।

এসএইচ-১৫/১১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)