স্বামীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে কারাগারে স্ত্রী

যৌতুক দাবি করায় সাধারণত স্বামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। কিন্তু উল্টো স্বামীর কাছ থেকে যৌতুক দাবি করায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে স্ত্রীকে। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর ইসলাম আসামি জয়নব ইসলামের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জয়নবের স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার যৌতুক দাবির অভিযোগ তোলেন। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর এই অভিযোগে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলায় শাশুড়ি শেফালী বেগম, খালা নাছরিন বেগম ও মামা হাবিব বেপারীকে আসামি করেন।

মামলাটি আদালত গ্রহণ করে প্রথমে সমন জারি করেন। কিন্তু সমনের তারিখ অনুযায়ী আসামিরা আদালতে না আসায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানার পর সোমবার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চান স্ত্রী জয়নব। কিন্তু আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাদীর অভিযোগ, চলতি বছরের ৩ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার পোশাক অন্যান্য জিনিসপত্র দেন আরিফুল ইসলাম। কিন্তু শাশুড়ি ও স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস করায় শাশুড়ি প্রতিনিয়ত তাদের সংসার ও পারিবারিক কাজে হস্তক্ষেপ করতে থাকেন। আরিফুলের স্ত্রী জয়নব তাকে বলেন, মা যতদিন বেঁচে আছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না এবং তাদের কথামতো চলতে হবে। পরবর্তীতে আরিফুলের শাশুড়ি তাকে বলেন, দুটো দোকান ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে তার মেয়ের নামে লিখে দিতে। এ ছাড়া যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকা স্ত্রীর নামে এফডিআর করে দিতে বলেন শাশুড়ি। না দিলে তার মেয়ে সংসার করবে না বলে জানান।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, কিছুদিন পর আরিফুল ব্যবসার কাজে বাইরে যান। তখন স্ত্রী-শাশুড়ি ও অন্য আসামিরা বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাদারীপুর চলে যান। পরে আসামিরা জানিয়ে দেন যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকা এফডিআর না দিলে সংসার করবে না।

এ বিষয়ে সমাধানের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো উত্তর দেয়নি। মীমাংসার জন্য একাধিকবার জানানো হলেও তারা ৫ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে সংসার করবে না বলে জানায়।

এসএইচ-২৫/১১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)