কর দেবেন যেভাবে

44968867 - office work and filling in tax returns close up

আসন্ন নভেম্বরে আয়কর দেওয়ার মাসে গত বছরের মতো এবার করোনার কারণে কর মেলা হবে না। এতে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হবেন এবং এজন্যই সাধারণ করদাতাদের ভোগান্তি কমাতে নভেম্বর মাসব্যাপী বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নভেম্বর মাসজুড়ে প্রতিটি কর অঞ্চলে ছোট ছোট উৎসবমুখর মেলার আবহ তৈরি করবে এবং এর জন্য বাজেটও বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই করদাতারা সরাসরি নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়ে কর দিতে পারবেন।

এনবিআর আগামী ১ থেকে ৩০ নভেম্বর সেখানে সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে সব সুবিধা প্রদান করবে। রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণ করতে সহায়তা করবে। রিটার্ন গ্রহণের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। মেলার মতো তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তিস্বীকারপত্রও দেওয়া হবে।

সেবাকেন্দ্রে কর রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই–টিআইএন) নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধনও করা যাবে। সুতরাং আপনি যদি করদাতার খাতায় নাম লেখাতে চান, তাহলে অবশ্যই ই–টিআইএন নিতে হবে। এটি ছাড়া রিটার্ন যেমনি দেওয়া যায় না, তেমনি আপনি বহু কাজ করতে গিয়ে আটকে যাবেন।

তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করছে এনবিআর। ১ থেকে ১৫ নভেম্বর তাদের জন্য বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করবে কর অঞ্চল-৪। তারা সেখানে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখিয়ে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে পারবেন।

এ ছাড়াও সচিবালয়েও আলাদা বুথ থাকবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য আগামী মাসে একটি নির্দিষ্ট স্থানে দুদিন বিশেষ রিটার্ন বুথ স্থাপন ও কর তথ্যসেবা প্রদান করা হবে। এনবিআর, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে এই স্থান নির্বাচন করবে।

৩০ নভেম্বর আয়কর বিবরণী জমার শেষ তারিখ। বর্তমানে দেশে ৬২ লাখ টিআইএনধারী আছেন। প্রায় সবারই কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদিও গত বছর প্রায় ২৫ লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন।

এবছর জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সেরা করদাতাদের কর কার্ডসহ অন্যান্য সম্মাননা দেওয়া হবে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে এই অনুষ্ঠান হবে। বিভিন্ন শ্রেণিতে এনবিআর প্রতিবছর সর্বোচ্চ করদাতাদের সম্মাননা দিয়ে থাকে। তবে করোনার কারণে গতবছর এই সম্মাননা অনুষ্ঠান হয়নি।

উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে পূর্বের মতো শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে না। তবে সভা–সেমিনারের আয়োজন থাকবে। কর কার্যালয়গুলোতে আলোকসজ্জা করা হবে।

এসএইচ-১৯/১৩/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)