শিশুদের পরীক্ষামূলক করোনার টিকা শুরু বৃহস্পতিবার

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া শুরু হবে বৃহস্পতিবার। পরীক্ষামূলকভাবে মানিকগঞ্জের দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে টিকা।

বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, শিশুদের টিকা দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমরা এ টিকা কার্যক্রম শুরু করব। আর এটি হবে আমাদের একটি ‘টেস্ট রান’।

আপনারা এর আগেও দেখেছেন কোনো টিকা দেওয়ার আগে টেস্ট রান করি। তারপর কিছুদিন আমরা সেটাকে পর্যবেক্ষণ করি, এরপর ফাইনাল কার্যক্রম শুরু করি। এবারের টেস্ট রানের জন্য মানিকগঞ্জকে বেছে নিয়েছি। আপনারা জানেন মানিকগঞ্জ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। সেখান থেকে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে দুটি সরকারি স্কুলে ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের বেছে নিয়েছি। তাদের ফাইজারের টিকা দেব। এরপর আমরা ১০ থেকে ১৪ দিনের শিশুদের পর্যবেক্ষণ করব, শিশুদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা। পরবর্তীতে ঢাকায় আমরা বড় আকারে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব। টেকনিক্যাল কিছু কারণেই মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, শিশুদের টিকার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এ কঠিন কাজটাই আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ কাজে সবাই আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন বলে আশা করছি।

গত রোববার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড সফরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ও গ্যাভির প্রতিনিধির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে তারা ‘সায় দিয়েছেন’।

তিনি বলেন, সরকারের হাতে এখন ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে, এ থেকে ৩০ লাখ ডোজ দেওয়া হবে। বাকি ৩০ লাখ ডোজ রেখে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য।

শিশু শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের বিষয়ে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও নিবন্ধন করা যাবে। বিষয়টি আইসিটি বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নাই, কিন্তু জন্ম সনদ আছে, তাদের আমরা জন্ম সনদের মাধ্যমে দেব। স্কুল থেকেও সার্টিফাই করবে।

এসএইচ-২২/‘১৩/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)