নদীর তলদেশে হচ্ছে রেললাইন

মেট্রোরেল লাইন পাঁচের হাত ধরেই দেশে প্রথমবারের মতো নদীর তলদেশে হচ্ছে রেললাইন। হেমায়েতপুর থেকে শুরু হলেও লাইনটি পাতালে ঢুকবে গাবতলী থেকে।

ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে সম্ভাব্যতা যাচাই। চলছে সমীক্ষার কাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হবে এমআরটি লাইন পাঁচের নির্মাণকাজ।

রাজধানীজুড়ে এমআরটি রুট নের্টওযার্কের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ এই প্রকল্প। লাইন-৬ আর লাইন-১ এর পরে এটি হবে মেট্রোরেলের তৃতীয় রুটের কাজ।

উড়াল অংশ থাকবে তুরাগের ওপারেই। পরে গাবতলী থেকে দারুসসালাম হয়ে মিরপুর ১, দশ, ১৪ হয়ে কচুক্ষেত। এরপর বনানী ১১ থেকে, গুলশান দুই হয়ে নতুন বাজার। সবশেষ স্টেশন ভাটারায় গিয়ে আবার ওপরে উঠবে রেলপথ, সবশেষ স্টেশন হবে এটি। এই পথেও গাবতলীতে একটি মাল্টিপল হাব করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রিজটা পার হলেই গাবতলী। নদীর এপার থেকে যদি করা হয়, তবে স্টেশন অনেক সামনে চলে যাবে। এ জন্য নদীর ওপার থেকে নদীর নিচে দিয়ে এসে গাবতলী স্টেশনের পাশে চলে যাবে। ওই জায়গাটাতে কোনো স্টেশন থাকবে না। ট্রেনটা নামার যে র‌্যাম্পের মতো থাকবে, সেটা নদীর নিচ দিয়ে এসে গাবতলীতে উঠে যাবে।

এরই মধ্যে শেষ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ। চলছে ইউটিলিটি ভেরিফিকেশন সার্ভে। ভায়াডাক্টের পাতাল অংশ হবে টিউবের মাধ্যে। তবে স্টেশনগুলো হবে উম্মুক্ত প্রক্রিয়ায়। সেই অংশের জন্যই এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলছে ডিটেইলের ডিজাইনের প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে সমীক্ষা শেষে চূড়ান্ত টেন্ডারে যাবে কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনায় আছে ২০২২ সালের মধ্যেই নির্মাণকাজে হাত দেওয়া।

সব ঠিক থাকলে ২০২৮ সালে শেষ হবে লাইন পাঁচ- এর উত্তরের কাজ।

এসএইচ-০৪/২৪/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)