অসুস্থ খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সার্জিক্যাল আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার তার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘উনাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকালে তরল খাবার দেওয়া হয়েছে। ম্যাডাম ভালো আছেন, ভালো বোধ করছেন।’

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়ার টিউমার ধরা পড়েছে। তার বায়োপসি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

বায়োপসি রিপোর্ট সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন জানান, এ ধরনের রিপোর্ট আসতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে। এরআগে তো বলা যায় না।

তারও আগে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।

খালেদা জিয়াকে দেখতে রোববার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কাছে যান।

এদিকে, খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা ইসলাম বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) অবস্থা ভালো না। জ্বর আসে, কিডনির সমস্যা আছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও নানা জটিলতা আছে। এ জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলেছি যে তাকে বিদেশে পাঠাব। কিন্তু সরকার তো কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। তার যে জটিলতা, এখানে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়, বিদেশে যেতে হবে।

গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুদিন আগে থেকে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর গত দুই সপ্তাহে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনা সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত চারবার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।

এসএইচ-০৭/২৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)