স্বাস্থ্যবিধি মানতে আজকালের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও জনসমাগম বন্ধ না হওয়ায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধে দু-একদিনের মধ্যে নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে। আজকালের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ মৃত্যুর হার এত কম কেন- কারণ মানুষ টিকা নিয়েছে। পৌনে ৮ কোটি মানুষ টিকা নেওয়ায় দেশে মৃত্যুর হার এত কম।

সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের বিভাগীয় আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টিকার অভাব সমস্যা হবে না কিন্তু মানুষের টিকা নেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। সে কারণে বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। টিকা দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত গিয়েছিলাম। ইউনিয়নে তিনটি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হতো এখন সেখানে নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে করা হচ্ছে। যাতে বেশি মানুষ টিকার আওতায় আসে।

তিনি বলেন, সংক্রমণ বাড়ছে। আমি আগেই বলেছিলাম, টিকা সংক্রমণ কমায় না, মৃত্যুর হার কমায়। মাস্ক পরা ছাড়া, স্বাস্থ্য বিধি মানা ছাড়া সংক্রমণ কমানো যাবে না। এটা আমাদের সবাইকে মানতে হবে।

শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেন, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে না। ওমিক্রন রোধে জাতীয় কমিটির সুপারিশ মানা হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক ডোজ টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নানা নির্দেশনাও দেন।

ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, লঞ্চ ও ট্রেনে উঠতে গেলেও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে সরকার। এ ছাড়া বাড়ির বাইরে মাস্ক ছাড়া চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন না নিলে ট্রেন ও উড়োজাহাজে চলাচল করা যাবে না। সেই সঙ্গে রেস্তোরাঁ, শপিংমলেও প্রবেশ করা যাবে না। এ ছাড়া সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাগম সীমিত রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এটি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বলে দেওয়া হবে।

বুস্টার ডোজ নিয়ে তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়স সীমা ৬০ থেকে কমানো হবে। ফ্রন্টলাইনাররা সবাই শিগগিরই বুস্টার ডোজ পাবেন।

কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর করা হবে সেটি দু-একদিনেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এসএইচ-০২/০৮/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)