ইসি গঠনের আইন এ অধিবেশনে পাস হতে পারে: আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক কাউকে গ্রেফতার না করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধ ও যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ নির্দেশনা দেন আইনমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন চলতি সংসদ অধিবেশনে পাস হতে পারে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনার নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়া আইনের খসড়া সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান ডিসি সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে চলমান অধিবেশনে পাস করার। কিছুটা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ওপর নির্ভর করছে।

এর আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

খসড়া অনুযায়ী, সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে থাকবেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহাহিসাবরক্ষক ও নিরীক্ষক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।

এসব পদের নিয়োগে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। ওই ব্যক্তিদের কমপক্ষে ৫০ বছর বয়স হতে হবে। এ ছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে ওই ব্যক্তিদের কমপক্ষে ২০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এসএইচ-১৯/২০/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)