‘শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশে অপপ্রচার সফল হবে না’

শ্রীলঙ্কায় চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সৃষ্ট সেখানকার নাজুক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে একটি চিহ্নিত মহল বাংলাদেশে মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে জনগণের মাঝে আতঙ্ক-ভীতি সঞ্চারে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তাদের দোসররা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো এক অপরাজনীতির ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিছু কিছু চিহ্নিত গণমাধ্যম ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট কতিপয় তথাকথিত গবেষণা সংস্থা তাদের মনগড়া ও বাস্তবতা বিবর্জিত আষাঢ়ে গল্প পরিবেশন করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শুক্রবার  এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই শেখ হাসিনার সততা , দক্ষতা, সাহসিকতা, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম বিশ্বসভায় তাকে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আজ অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। তার সুদক্ষ ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সকল প্রতিবন্ধকতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নয়ন-অগ্রতি শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রতিদিন নির্লজ্জভাবে ক্রমাগত মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং গণমাধ্যম তাদের দেওয়া দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য-বিবৃতি ও মিথ্যা মন্তব্যের কোনো রকম সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রকাশ করে থাকে। স্বৈরশাসন ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে জন্য নেওয়া বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বারবার ধ্বংস করে আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নামে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা ও তামাশা করছে। মির্জা ফখরুল সাহেবদের মতো যারা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর কাউকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও শিশু মুক্তিযোদ্ধা বানাবার অপপ্রয়াস চালায় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার-আলবদরদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ও ক্ষমতার আসনে বসায় তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না।

এ ধরনের অপকর্মের কারণেই বিএনপিকে বারবার জনরোষের মুখে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছে। যারা রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে দেশের আদালতে দণ্ডিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারাই আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের দুর্নীতির কালো টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি রাজনীতিতে তাদের দ্বিচারিতার সাক্ষ্য দেয়। এক সময় তাদের নেত্রীই বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। রাজনীতিতে ভুল ট্রেনে ওঠা বিএনপি নেতারা এখন পরিত্যক্ত প্লাটফর্মের অন্ধকার বগির দিশেহারা যাত্রীর মতো অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন। সাংবিধানিক বিধান মতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে কারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে বদ্ধপরিকর। কেউ যদি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

এসএইচ-০৯/১৩/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)