জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে দাম বেশি হওয়ায় দেশের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার।

মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত এক কর্মশালায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

এসময় তিনি বলেন, মূল্য সমন্বয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে এখনও কিছু নির্ধারিত হয়নি।

নসরুল হামিদ বলেন, যেভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বাড়ছে সেটা খুব অস্বাভাবিক। আমাদের চিন্তা করতে হবে এই অবস্থা কতদিন চলবে। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। দাম পরিবর্তন করবো কিনা, কোথায় সমন্বয় করবো বা আদৌ করবো কিনা এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর সরকারের কাছে প্রস্তাব করব।

লোকসানের দায় কে নেবে? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহকরা আছেন, যারা জ্বালানি পরিবহন করেন তাদের ওপর কোনোও চাপ পড়ুক তাও, আমরা চাই না। আমরা চাই সমন্বয় করতে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। আমরা আসলে কত এই লোকসান করব?

করোনার ধাক্কা সামলে ওঠার আগে রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘাতে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। বিশ্ব বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।

এদিকে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ানো ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বাজেটে বলা হয়েছে, করোনার পর হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বেড়েছে। এর সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়তে শুরু করেছে।

অপরদিকে সম্প্রতি প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলে দাম বেড়ে ১১৩ ডলার ছাড়িয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার হার প্রায় ৬৫ শতাংশ।

এছাড়া গেল সপ্তাহে ইউরোপের বাজারে দাম বাড়ানো পর এশিয়ার বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে দাম বাড়িয়ে দেয় সৌদি আরব। যাকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি বলে অবহিত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি আরামকো জানায়, সৌদি আরব এশিয়ায় আরব লাইট ক্রুডের অফিশিয়াল বিক্রয়মূল্য জুনে ৪ দশমিক ৪০ ডলার প্রিমিয়াম থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫০ ডলার প্রিমিয়াম করা হয়েছে।

এসএইচ-২২/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)