উকিলের চেম্বারে স্ত্রীকে কোপালেন ইউপি মেম্বার

ঢাকার কোতোয়ালি রাজার দেউরী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর দায়ের কোপে আহত হয়েছেন স্ত্রী। আহত রাহিমা খাতুনকে (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত নুরুজ্জামান দেওয়ানকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।

বুধবার জজকোর্ট এলাকার রাজার দেউরী প্রাইমারি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে রাহিমার মামা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তাদের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাসুর এলাকায়। রাহিমার স্বামী নুরুজ্জামান দেওয়ান কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নুরুজ্জামান একাধিকবার রাহিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে বিয়ে না করতে চাওয়ায় রাহিমা কোর্টে ২০১৭ সালে মামলা করেন তার বিরুদ্ধে। সেই মামলার পর রাহিমাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর মামলা তুলে নেন।

রাহিমা জানান, বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিল। তাকে নির্যাতন করতেন স্বামী। সেজন্য ২০২১ সালে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। গত বুধবার (২৭ জুলাই) স্বামী নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে চলে যান রাহিমা। এরপর স্বামীকে জানিয়ে দেন, তার সঙ্গে সংসার করবেন না। তবে তার দেনমোহরের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে সকালে কোতোয়ালিতে এক উকিলের চেম্বারে যান রাহিমা। নুরুজ্জামান ও তার চাচা কামরুল ইসলাম সেখানে গিয়ে স্ত্রী রাহিমাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পিঠে ও বাম হাতে আঘাত করেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লাল মিয়া জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্বামীর নামে একটা মামলাও আছে। সেই মামলায় আজ হাজিরা দেয়ার কথা ছিল নুরুজ্জামানের। রাহিমাও সকালে তার উকিলের চেম্বারে ছিল।

অভিযুক্ত নুরুজ্জামান দাবি করেছেন, স্ত্রী রাহিমা তাকে ফোন দিয়ে বলে ৫ লাখ টাকা নিয়ে আসলে মামলা তুলে নেবে আজ। পরে স্বামী নুরুজ্জামান রাজার দেউরী এলাকায় যান। তবে তিনি ক্ষোভে স্ত্রী রাহিমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে লোকজন তাকে ধরে থানায় দেয়।

এসআই আরও জানান, নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে রাহিমা ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন স্বামী নুরুজ্জামান।

এসএইচ-০২/০৩/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)