বিদ্যুৎসহ তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানোর আভাস প্রতিমন্ত্রীর

বিদ্যুতের পাশাপাশি আবারও তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানোর আভাস দিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে জ্বালানি তেলের দাম এ পর্যায়ে রাখা বেশি দিন সম্ভব হবে না। এছাড়া রাজধানীর বাইরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রীর আশা, আগামী মাসেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে ৬৬ শতাংশ। পিডিবির এমন প্রস্তাবে গত মে মাসে গণশুনানির পর এখন পর্যালোচনা করছে বিইআরসি। আইনে ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে চলতি মাসেই দাম বাড়ানোর বিষয়ে আদেশ ঘোষণার কথা।

আবার গত জুনে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় গড়ে ২৩ শতাংশ। যে কারণে দুই মাস আগে আবাসিক দুই চুলার গ্যাসের দাম ছিল ৯৭৫ টাকা, এখন মাসে গুণতে হচ্ছে ১ হাজার ৮০ টাকা। তারপরও গ্যাসের দাম আবারও বাড়াতে চায় জ্বালানি বিভাগ। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গত নভেম্বরের পর দেশের বাজারে আবারও সমন্বয়ের ইঙ্গিত প্রতিমন্ত্রীর।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দামের সমন্বয়ের ব্যাপারে অপেক্ষায় আছি। গ্যাসের ব্যাপারে আরেকটা সমন্বয়ে যেতে চাচ্ছি। এছাড়া তেলেরও একটা সমন্বয় হওয়া দরকার বলে মনে করছি।

আর চলমান জ্বালানি সাশ্রয়ী নীতিতে রাজধানীতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি অনেকটা সহনীয় থাকলেও ঢাকার বাইরে লোডশেডিংয়ে সইতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসে উন্নতি হতে পারে পরিস্থিতির।

তবে গত দুই সপ্তাহে কতটা সাশ্রয় হলো জ্বালানির? সে তথ্য পর্যালোচনা করতে আরও এক মাস সময় চাইলেন নসরুল হামিদ।

নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের কাছে গত মাসের বিল আসছে। কী পরিমাণ পার্থক্য হলো, সেটা আর এক মাস গেলে বুঝতে পারব।

আবারও গ্যাস-বিদ্যুৎ আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় বিকল্প ভাবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

তারা বলছেন, একটা ত্রিমুখী দাম বাড়ানোর মুখে পড়তে যাচ্ছে জনগণ। ২ মাস আগে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। তেলের দাম বড়ানো হয়েছে ৬ মাস আগে। এখন আবার বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এতে জনগণ অনেক ভোগান্তিতে পড়বে।

তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞ মহলের।

এসএইচ-১১/০৫/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)