নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে

অসহনীয় নিত্যপণ্যের বাজারে হরহামেশাই বিবাদে জড়াচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতা। মূলত পণ্যের দাম নিয়ে অসন্তোষ থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি। ক্রেতাদের দাবি, একটু একটু করে প্রতিদিনই বাড়ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, উৎস থেকেই দৈনিক বাড়ানো হয় ডিম, চাল, তেল, সবজির দাম।

কথা কাটাকাটি আর বাগ্‌বিতণ্ডার দৃশ্য এখন বাজারের রোজকার চিত্র। বিভিন্ন সোর্স থেকে দর দেখে পরিকল্পনা করে বাজারে এসে প্রতিদিনই হতাশ হচ্ছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ডিমের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশ কম। এক ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম কিনতে একজন ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে দেড়শ টাকা। অথচ একটা সময় দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যেত ডিম, আর এখন বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে।

ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বিক্রেতা বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খাদ্যের দামও বাড়তি। এখন আবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। তাই পরিবহন ব্যয়ও বেশি গুণতে হচ্ছে। এর জন্যই ডিমের দাম বেড়েছে। এখন ব্যয় বেশি হলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।

এসময় এক ক্রেতা বলেন, ডিম কিনতে গেলে ডিমের দামও বেশি। মাছ কিনতে গেলে মাছের দামও বেশি। প্রত্যেকটি জিনিসের দামই ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের আয় তো সে তুলনায় বাড়ছে না। বিক্রেতারা একেক সময়ে একেক দামে বিক্রি করছেন।

একই অবস্থা চাল, ডাল, তেলসহ অন্য সব নিত্যপণ্যের বাজারেও। চালের বাজারে একই দিনেই কয়েকবার বদলাচ্ছে দাম। যদিও বাজারে বড় ধরনের সংকট নেই কোনো নিত্যপণ্যেরই। এরপরও দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ক্রেতারা। কিন্তু এর দায় নিতে নারাজ বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজার থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দাম।

নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে অতিষ্ঠ এক ক্রেতা বলেন, ব্রি ২৮ চাল আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি ছিল। এটিই এখন ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে দিনাজপুরের মিনিকেট আগে ৩৫ টাকা ছিল। এখন তো তার দাম ৮০ বা ৯০ টাকায় উঠে গেছে। এভাবে কি সম্ভব?

তেলে বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তুলে ধরে এক বিক্রেতা বলেন, খোলা তেল সকালে এক দাম, বিকেলে এক দাম, আবার রাতে আরেক দাম। রেট কোথাও স্থায়ী নেই।

আবার চালের বাজারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে এক চাল বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিনই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে বাড়ছে। শেষে আর কী করব? আমার দোকানে পণ্য নেই, তাই প্রতি বস্তা ৩ হাজার ৬৩৫ টাকা দরে মিনিকেট কিনতে বাধ্য হয়েছি।

বাজারে নিত্যপণ্যের দামের গ্রাফ শুধু ওপরেই উঠছে, কবে নামবে তা জানেন না বিক্রেতারাও। ফলে অসন্তোষের শেষ নেই ক্রেতাদের।

এসএইচ-১৬/১৫/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, সূত্র : সময়)