জিয়া ও বিএনপি সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত ফিলিস্তিন, মিয়ানমারের দিকে নজর দেওয়া। ভালো হতো যদি তাদের হাইকমিশনার ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে হতাহতদের পরিবারের কথা শুনতেন। জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে শিশুরা ইসরাইলি সৈন্যের দিকে ঢিল ছুঁড়লে প্রত্যুত্তরে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে তাদের হত্যা করা হয়। আর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশকে বাহবা দিলেই হবে না, মিয়ানমারে গিয়ে সেখানে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানাবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটা এসব দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজর দেওয়া উচিত।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল। খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিল। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তার তৈরি করে রেখে যাওয়া দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে শত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মেরেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তার সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ সফরকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে কথা বলেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এ আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে এ আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের চেয়েও কঠিন ধারা আছে।

মন্ত্রী বলেন, এ আইনের যাতে কোনও অপপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি। কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে কৃষিবিদ ও কৃষির সব ক্ষেত্রে কর্মরতদের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে একটি নিবেদন হিসেবে পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের চার ভাগের একভাগ নেদারল্যান্ডসের কৃষি খাতে বার্ষিক রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রায় আমাদের মোট রফতানির সমান। আশা করি, আমাদের কৃষিবিদরা কৃষিজমি রক্ষাসহ বহুমুখী কার্যক্রমে দেশের কৃষি খাতকে তৈরি পোশাক খাতের মতো অন্যতম প্রধান রফতানি আয়ের উৎসে পরিণত করতে সচেষ্ট থাকবেন।

শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ।

এসএইচ-০৮/১৮/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)