শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ শাহবাজের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ করেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন।

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গেও শেখ হাসিনা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন।

মুনা জানান, ক্যামেরন অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফর করতে চান।

এদিকে, প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগদান শেষে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতেই লন্ডন ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এর আগে যুক্তরাজ্য সফরের চতুর্থ দিন সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও রাজাদের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লস অয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট রাত ৯টায় স্ট্যানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা। ফ্লাইটটি একই দিনে নিউইয়র্ক সময় রাত সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোরও কথা রয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। শেখ হাসিনার ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত একটি সংবর্ধনা সভায় যোগদান এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা রয়েছে।

তিনি ইউএনএইচসিআর-এর শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তিনি ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারসেও যোগ দেবেন। দিনশেষে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

এছাড়া তিনি সহআয়োজক বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক রিপাবলিক ও ইউএন হ্যাবিট্যাট আয়োজিত টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন। একই দিনে তিনি ডব্লিউইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।

একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দফতরে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভিয়োসা ওসমানী-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গিয়ারমো লাসো মেন্ডোজা এবং ইউএসজি ওএইচআরএলএসএস-এর রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-এর ওপর একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকের মাধ্যমে ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি শুরু করবেন এবং তার সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিতোরিনো সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের পলিসি গোলটেবিল বৈঠকেও যোগ দেবেন। পরে তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন। এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

এসএইচ-৩০/১৯/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)