৯ বছর পালিয়ে থাকার পর র‍্যাবের হাতে ধরা

ডিশ ব্যবসায় এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ কারণেই ২০১১ সালে খুন হন রমনা থানার ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানা। আর নয় বছর পালিয়ে থাকার পর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে ধরা পড়ল এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তারেক।

র‌্যাব বলছে, বারবার পরিচয় পরিবর্তন করায় এতদিন তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

ইকবাল হোসেন তারেক। ডিশ ব্যবসার পাশাপাশি ছিলেন মাদকসেবী। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন রমনা থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা। এতেই গ্রেফতার হন তারেক। জামিনে মুক্তি পেয়ে ডিশ ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে আবারও রানার সঙ্গে বিরোধে জড়ান তিনি।

এ দ্বন্দ্বই কাল হয় রানার। ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি মগবাজারে তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তারেক ও তার সহযোগীরা। এরপর এলাকাবাসী চলে এলে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান তারা।

ঘটনার পর ১০ জন গ্রেফতার হলেও নাম, পেশা ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে ছিলেন তারেক। অবশেষে নয় বছর পর বৃহস্পতিবার তাকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সে নিজেকে তাহের, পিতা আব্দুর রহিম নামে সব জায়গায় পরিচয় দিত। ফলে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও সে যে একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি, সেটা গোপন থেকে যায়।

সংস্থাটি জানায়, পলাতক জীবনে পরিত্যক্ত কার্টনের ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করতেন তারেক।

আরিফ মহিউদ্দিন আরও বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে সে পরিত্যক্ত কার্টন সংগ্রহ করে বিক্রির কাজ শুরু করে এবং পাশাপাশি তার যে মাদকের রমরমা ব্যবসা, সেটাও চালিয়ে যাচ্ছিল।

গ্রেফতার তারেকের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে।

এসএইচ-০৪/২৩/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)