মন্দার শঙ্কায় অস্থির চালের বাজার

চালের বাজারে চালবাজি থামছেই না। দামও বাড়তি। পাইকারি পর্য়ায়ে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। এর পেছনে নানা যুক্তি থাকলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, মন্দার আতঙ্কে অস্থিরতা বাড়ছে। এদিকে তেলের দামে কোণঠাসা ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে খোলা আটা-ময়দায়।

উঠতে শুরু করেছে আমন ধান আর বাজারে দাম বাড়ছে চালের। গত কয়েক দিনে সব জাতের চালের দামেই কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটের কথা বলে মিলাররা কম সরবরাহ করছেন। বিক্রিও আগের তুলনায় কমেছে। একই সঙ্গে মন্দার শঙ্কায় নতুন করে বাজার অস্থির হয়ে উঠছে।

চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, মিনিকেট ও ব্রি-২৮ জাতের চালসহ সব ধরনের চালের দাম বাড়তি। মৌসুমের আগের দিকে চালের দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু নতুন মৌসুমের চাল বাজারে এলে দাম কমবে। এছাড়া বাজারে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে যে সংকট দেখা দেবে, এ শঙ্কায় দাম বাড়ছে।

ঢাকার বাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়তি দামেই ভোজ্যতেল ও চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন ১৬৮ টাকা লিটার ও চিনি ১০৭ টাকা কেজি। বিক্রেতারা বলেন, সব ধরনের তেলের দামই বাড়তি। লিটারপ্রতি ৩ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৮ টাকা এবং পামতেল ১২২ টাকা।

ডালের বাজারের বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, ডালের দর আগের চেয়ে একটু বেশি। আগে মোটা ডাল প্রতি কেজি ৮৫ থেকে ৮৬ ছিল। এখন ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা।

এদিকে নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস ক্রেতারা বলেন, যা আয় করি তার তুলনায় খরচের মাত্রা বাড়তি। প্রতিটি পণ্যের দাম হিসাবে দ্বিগুণের কাছাকাছি।

তবে খোলা আটা ও ময়দার দাম কমায় একটু হলেও ভোক্তার কপালের চিন্তার ভাঁজ কমেছে। ময়দা কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গত ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই ময়দার বাজার কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমে গেছে। এ ছাড়া আটার বাজারও কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। তবে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা ৫৬ টাকা ও ময়দা ৬০ টাকা। এছাড়া দুই কেজির প্যাকেটজাত আটা ১৪২ টাকা এবং ময়দা ১৬২ টাকা।

তবে গমের আমদানি, সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে মনে করেন পাইকাররা।

এসএইচ-০৬/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)