ব্যাংকে কত হাজার কোটি টাকা আছে জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক

নানা মাধ্যমে অপপ্রচারের মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রয়েছে।

গত ১০ দিনে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র খুলেছে ৫২টি ব্যাংক। ব্যাংকে তারল্য সংকট ও বাণিজ্যিক ঋণপত্র খোলা নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো বার্তাকে গুজব ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ।

‘ব্যাংকে গিয়ে মিলছে না নগদ অর্থ। ডলার সংকটে বন্ধ ঋণপত্র খোলাও (এলসি)। ঝুঁকিতে গ্রাহকের আমানত।’ দৈনিক প্রথম আলোসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন রিপোর্টের বরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। আবার এসবকে পুঁজি করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত একটি মহল।

এ ইস্যুতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার একদিন পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ ও বাণিজ্যিক ঋণপত্র খোলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, প্রায় পৌনে দুই লাখ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। সুতরাং আমানত নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনো সংকট নেই। ব্যাংক ব্যবস্থায় বর্তমানে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।

চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে পণ্য আমদানিতে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র খোলা হয়েছে। আগের মাসের একই সময়ে যা ছিল প্রায় ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি। ঋণপত্র খোলা বন্ধের খবরটি ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন মুখপাত্র।

তিনি বলেন, ‘এ মাসের ১০ তারিখে ৫৫টি ব্যাংক এলসি খুলেছে। যদি ৩ মিলিয়নের বেশি অর্থের এলসি খোলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমরা তদারকি করছি। কোন জিনিস আমদানি করা হচ্ছে আমরা সেদিকে খেয়াল রাখছি।’

এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহও স্বাভাবিক রয়েছে। চলতি মাসে প্রথম ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ২০৬ কোটি টাকা বেশি। এতকিছুর মধ্যেই আমদানি-রফতানিতে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএইচ-১৫/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, সূত্র : সময়)