আরও ১০০ হাসপাতালে চালু হচ্ছে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০০ সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ৫১টি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। এই সেবায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। চিকিৎসকরাও খুশি মনে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এ জন্য এই সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও ১০০ হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এদিকে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরন মোকাবিলার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও ১১ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ১১ লাখ ভ্যাক্সিন বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুব শিগগিরই আরও ২০ লাখ টিকা দেবে। দ্রুতই এই ভ্যাক্সিনগুলো বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠালগ্নের কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালের ২ মে তৎকালীন কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রথম যাত্রা শুরু হয় আজকের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এ কারণেই ২ মে’র সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে মনে রেখেই আজকের এই জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন্মলগ্ন থেকে আজ ৫২ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬০ হাজার বেড হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স, ৩৩ হাজার চিকিৎসক, ১৮ হাজার ক্লিনিক; যার মধ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। সব ওষুধ বর্তমানে দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট করা হয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে গত ৫২ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্জন বলে শেষ করা যাবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা প্রমুখ।

এআর-০৩/০২/০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)