দেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে কার্যকরী। সেই সাথে ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিতে বাজেট বরাদ্দ জরুরি।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর বিএমএ ভবনে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতি ও করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান। আলোচনা সভা আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।
কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সহসভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস বলেন, উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবিলা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে একটি গাইডলাইন রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের পরামর্শ ও ওষুধ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি এটি দ্রুত পাশ হবে।
জিএইচএআই বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ অফিসের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ফারজানা আক্তার ডরিন এবং এনটিভির হেড অব নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জহিরুল আলম। এ ছাড়াও সভায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।
এআর-১৪/১৬/০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)