আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তার মুখে কোনো কিছু বাধে না। মুখে যা আসে তাই বলেন। আসলে মিথ্যাকে পুঁজি করে তারা চলেন। তাই মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্বল।
তিনি বলেন, তিনি রোজ রাতে শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখেন, আবার দিনের বেলাতেও দেখেন। ময়ুর সিংহাসন হারিয়ে গেছে তাদের। দিবাস্বপ্ন দেখে ময়ুর সিংহাসন কি ফিরে পাওয়া যাবে? তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে খেলবে। তারা গত ডিসেম্বরে পারেনি। পারেনি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসেও পারেনি। জুনেও পারবে না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, নভেম্বরেও পারবে না। ডিসেম্বরে তো নির্বাচন। তখন হবে ফাইনাল খেলা। তারা নাকি গণআন্দোলন করবে, দেখতে দেখতে ১৪ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। আন্দোলন হয় না, মরা গাঙে জোয়ারও আসে না।
রোববার দুপুরে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল জলিলের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। আর জনগণ না থাকলে আন্দোলন হয় না। জনগণ নেই, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। ৫২ দফা ভুয়া, ২৭ দফা ভুয়া, বিএনপির ৫৪ দল ভুয়া। এই ভুয়া দলের আজকে বড় জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল। মেট্রোরেল চালু হলো। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে। কিছু দিন লোডশেডিং হয়তো থাকবে। সেটিও ঠিক হয়ে যাবে। বিএনপির অন্তরজ্বালা কমবে না। নালিশ করতেই থাকবে। তারা ইউরোপের কাছে নালিশ করেছে, পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। আমেরিকার কাছে রোজ রোজ নালিশ করে, কি দেয়, ঘোড়ার ডিম। তারা যেখানেই যায় ঘোড়ার ডিম পায়। তারা নালিশ করে কিছু হয়নি।
জ্বালানি সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিশ্ব পরিস্থিতি দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে আজকে স্যাংশন। এখন সংকট, নিষেধাজ্ঞার সংকট। সারা বিশ্বে যুদ্ধ, পাল্টা যুদ্ধ, নতুন নতুন সংঘাত সারা পৃথিবীকে স্থিতিহীন করেছে। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এটি আমাদের নয়। সারা বিশ্বের জন্য। বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধ করে, একে অন্যকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আর সেটির জন্য কষ্ট করতে হয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। এই কষ্টের জন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্ব পরিস্থিতির জন্য আমাদের সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে নালিশ করতে ও প্রমোদ ভ্রমণের জন্য যান না। তিনি যান বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা চাইতে। শেখ হাসিনা কাতারে গিয়ে জ্বালানির যে সহযোগিতা পেয়েছেন সেটি আমাদের সংকট থেকে সামনের দিনগুলোতে উদ্ধার করবে।
এআর-১০/০৪/০৬ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)