দুই মাসের মধ্যেই মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নেবে এমআরটি পুলিশ। প্রতিটি সদস্যকে দেয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। নবনিযুক্ত ডিআইজি বলছেন, এটি হতে যাচ্ছে পুরোপরি প্রযুক্তি নির্ভর একটি ইউনিট। এদিকে ঢাকার মতিঝিলে পৌঁছালে সাড়ে তিন মিনিট পরপর ছাড়বে ট্রেন, প্রতিদিন ছয় লাখ যাত্রী পরিবহনের প্রত্যাশা ডিএমটিসিএলের।
ধীরে ধীরে পরিসব বাড়ছে মেট্রোরেলের। সেই ডিসেম্বরে ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও দুটি স্টেশনে চালু হলেও এখন এই পথের ৯টি স্টেশনেই সকাল আটটা থেকে রাত আটটা চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।
পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যা। যাত্রী চাপ আর দ্রুত গতির এই বাহনের প্রয়োজনীয়তার ছাপ এখন স্পষ্ট। কর্তৃপক্ষ বলছে মতিঝিল ছুলে রাজধানীতে চলাচলের প্রধান বাহন হবে এই মেট্রোরেল। তখন সাড়ে তিন মিনিট পরপর আসবে ট্রেন। সেই চাপ সামলাতেই চলছে প্রস্তুতি।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি এতে প্রায় প্রতিদিন ৬ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারবে।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এমন অবস্থায় মেট্রো পুলিশ কবে নামবে মাঠে। আপতত ২৩১ জন সদস্যের এই ইউনিটের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করছে নতুন টিম। পুলিশের নতুন এই ইউনিটের দায়িত্ব নিয়ে এর প্রধান ডিআইজি জিহাদুল কবির জানান, শুধু যাত্রীই নয়; লাইন আর কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিতই বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য জনবল বাড়ানোর কথা জানালেন তিনি। পাশাপাশি আগস্ট মাসের মধ্যে কাজ শুরু করার আশ্বাসও দিলেন জিহাদুল কবির।
বিশেষ এই উইনিট হবে শতভাগ প্রযুক্তি নির্ভর ও বিশেষায়িত। দেয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। উদ্বোধনের আগেই নতুন পোশাক আর নীতিমালা প্রস্তুত করবে এমআরটি পুলিশ।
এসএইচ-১০/০১/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)