ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো। পৃথিবীর কোনো দেশই ডেঙ্গু নির্মূলের কোনো পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি। যদি পারত তাহলে আমরা সে পদ্ধতি গ্রহণ করতাম। আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই কীটনাশক কেনাসহ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছি। এ জন্য দেশীয় বিশেষজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।’
বুধবার সকালে সোনারগাঁও হোটেলসংলগ্ন হাতিরঝিল জল নিষ্কাশন যন্ত্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু আগেই চলে এসেছে। যে সময় তীব্র দাবদাহ ছিল সেই সময়েও ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। অথচ সেই সময় হওয়ার কথা নয়। সে বিষয়গুলো আমরা আমলে নিচ্ছি, আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করছি। ২০২১ সালে আমরা দুই মাসের কার্যক্রম নিয়েছিলাম। সেটাকে বৃদ্ধি করে এখন আমরা চার মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। কার্যক্রমও বৃদ্ধি করছি। এমন কেউ বলতে পারবে না—কোনো ঠিকানা, কোনো রোগী, কোনো স্থাপনায় লার্ভার তথ্য দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের মশককর্মী যায়নি।’
উত্তর সিটি করপোরেশনের চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পরিকল্পিত নগরায়ণ কম হওয়ায় এখানে এডিস মশার প্রকোপ বেশি বলেও জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘লার্ভার তথ্য পাওয়ামাত্রই ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের মশককর্মী, মশক সুপারভাইজারসহ গিয়ে সেই লার্ভা ধ্বংস করে, পানির আধার বিনষ্ট করে সেই জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিতে পারবে। আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে সহযোগিতা করুন। পানি কোথাও জমতে দেবেন না। পানির উৎস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত হতে পারব।’
মেয়র তাপস আরও বলেন, ‘এডিস মশার যে বিস্তৃতি তা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমাদের বৃষ্টির পরিমাণ অন্য দেশের তুলনায় বেশি হয়েছে। তারপরও আমরা সেটা করতে পেরেছি। বুঝতে হবে সামগ্রিক জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে এডিস মশা আমাদের দেশে বিস্তৃত হয়েছে, প্রজনন হার বৃদ্ধি করে চলেছে। সেটাকে রোধ করতে হলে সকলকে মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এআর-০৫/০৫/০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)