সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত তার আওতায় কেউ পড়েনি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটির যথাযথ বাস্তবায়নকে যুক্তরাষ্ট্রও চ্যালেঞ্জ মনে করে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। নির্বাচনকালীন সরকার বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমারা না বললেও সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক বলে দাবি করেছেন তিনি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ। আর সেই আলোচনায় বাড়তি খোরাক জোগাচ্ছে বিদেশিরা। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জায়ার ঢাকা সফর নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলই নিজেদের মতো করে বিদেশিদের বক্তব্য পক্ষে টানার চেষ্টা করে চলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যে যাই বলুক, এবার গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু কেউ কিছু বলুক বা না বলুক, তাতে আমাদের কী আসে যায়? আমাদের কমিটমেন্ট খুবই পরিষ্কার। আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই। এবং, সেটা সংবিধান মেনে করতে চাই।
২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপি সারাদেশে নেতাকর্মীদের মামলা ও সে কাজে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা করেছে। সে তালিকা বিদেশি দূতাবাসগুলোতে দেয়ার কথা। এমন অবস্থায় অভিযোগ এলেই সংশ্লিষ্টরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়বে কিনা, তাও ভাবাচ্ছে দায়িত্বশীলদের। তবে গড়পড়তাভাবে যেন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় ওয়াশিংটন, তা চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এর বাস্তবায়ন যেন বিধিবহির্ভূতভাবে, ঢালাওভাবে না হয়। এই সফরে আমরা এই বার্তাটুকুও পেয়েছি যে, এটা যদি কখনও বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন হয় তবে সেটা যে তাদের জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ, তা তারা বোঝেন।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থানে সংলাপের পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই। যদিও সরকার না চাইলে জাতিসংঘেরও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানালেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেয়ার মতো কোনো বাস্তবতা বাংলাদেশে আছে। হোস্ট কান্ট্রি যদি না বলে, তবে ইউএন এ ধরনের কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসবে না। সংবিধান ও নির্বাচন কমিশন আইনের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো প্রস্তাব দেয়ার মতো বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই।
আজরা জায়ার ঢাকা সফরে নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও দিল্লি সফরে কেন তা হয়নি, এমন প্রশ্নের মুখোমুুখি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কমতি আছে।
এসএইচ-০৪/১৭/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)