ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ছিল নিরুত্তাপ। যাদের জন্য ভোট, তাদের বেশিরভাগই যাননি কেন্দ্রে। সবমিলে ভোট পড়েছে ১১ দশমিক পাঁচ এক শতাংশ। কেন্দ্রভিত্তিক চিত্র আরও উদ্বেগজনক। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ৪ নং কেন্দ্রে ভোট পড়ে ১ শতাংশের কম। নিকেতন হাউজিং সোসাইটিতে ৩ শতাংশ।
প্রশ্ন এখন, এই উপনির্বাচনে এতো কম ভোট পড়লো কেন? মাত্র মাস পাঁচেক মেয়াদ থাকায় সংসদে ভূমিকা রাখতে পারবেন না এমপি, শুধু কী এ কারণেই কেন্দ্রে যাননি ভোটাররা? নাকি নির্বাচনে লড়াইয়ের কোনো আভাস না থাকায় আগ্রহ জাগেনি তাদের। এসব প্রশ্নে নানা রকম উত্তর দিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, বিএনপি বড় একটা বিরোধী দল। ভোটে তাদের উপস্থিতি ছিল না। প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে, এটা তো মানুষ আশা করে না।
আর নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান বলছেন, দিন শেষে ভালো নির্বাচনের তকমা লাগাতে পারেনি ঢাকা- ১৭ এর উপনির্বাচন।
কয়েক দশক ধরে দেশে-বিদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা এই বিশ্লেষকের প্রশ্ন, এমন ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন কেনো? ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে কমিশনকে আরও জোর চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান বলেন, ওই এলাকার লোকেরা কিন্তু এমন কোনো প্রার্থী পায়নি, যারা এলাকাটি নিয়ে ভাববে। এর আগে যারা ছিলেন (এমপি) তাদেরকে আমরা চিনতাম না। এর আগে যিনি আসলেন, তিনি কয়েক বছর অসুস্থ থাকলেন। অতএব, এই এলাকার মানুষ ভুলেই গেছে যে, তাদের একজন এমপি আছে।
দিনভর কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ হয়নি। শেষ সময়ে হিরো আলম নামে পরিচিত প্রার্থী আশরাফুল আলমকে মারধর প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পুরো আয়োজনকে। এই বিশ্লেষকের মত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুমিকা সন্তোষজনক ছিল না। দায় এড়াতে পারে না ইসি।
মুনিরা খান বলেন, ডিএমপি কমিশনার বলেছিলেন কোথাও কিছু হলে তিনি নাকে খত দিয়ে চলে যাবেন। সেখানে একজন প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়নি কোনো পুলিশ এসে তাকে রক্ষা করেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার তিন লাখ ২৫ হাজার। ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
এসএইচ-০৫/১৯/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)