আগস্ট মাস থেকে গরুর মাংসের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন। তবে, এই দাম কত তা স্পষ্ট করা হয়নি। যদিও বাজারে প্রচলিত দাম থেকে ৫০ টাকা কমানো হবে বলে জানান তিনি।
মো. ইমরান বলেন, ‘আমাদের খামারে খুব ভালো মানের যে গরু উৎপাদন হয় এবং বাজারে যেই দামে বিক্রি করা হয়, তার দাম আমরা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমিয়ে দেব। নতুন দাম কার্যকরে প্রয়োজনে বাজার তদারকি বাড়ানো হবে।’
ইমরান বলেন, ‘উন্নত জাতের গরু পালন, উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর খাদ্যের দাম কমানো, হাটে গরুর হাসিল কমানোসহ আমরা বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে মাংসের দাম কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমানো সম্ভব।’
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেশীয় জাতের গরু কৃত্রিম প্রজননের জন্য চার ধরনের সিমেন প্রস্তুত করে। তা হচ্ছে—আরসিসি, নর্থ বেঙ্গল গ্রে, শাহীওয়াল ও মুন্সীগঞ্জ। এসব জাতের গরু থেকে দুধ উৎপাদন সম্ভব নয়, শুধু মাংস উৎপাদন হয়। এই জাতের একটা দুই বছরের গরু থেকে ১২০ থেকে ১৫০ কেজি মাংস আহরণ করা সম্ভব। অন্যদিকে, দেশীয় গরুর সঙ্গে এইসব জাত সংকরায়ণ না করে আমরা যদি ব্রাহমার মতো উন্নত জাতের সংকরায়ণ করি, তাহলে সমপরিমাণ শ্রম ও ব্যয়ের পরিবর্তে আমরা দুই বছরের একটা গরু থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি মাংস আহরণ করতে পারব। এই একটা মাত্র পদক্ষেপেই মাংসের উৎপাদন খরচের অনেক অংশ কমানো সম্ভব, যা সরাসরি মাংসের মূল্যহ্রাসে সাহায্য করবে। এতে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারবে।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ সেমিনারের আয়োজন করে। অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
এআর-০৪/৩০/০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)