বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর লজ্জা হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, খুনিকে পালিয়ে থাকার সুযোগ দিয়ে যারা মানবাধিকারের অজুহাত দেয়, তারাই আবার মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার। বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১২ খুনির মধ্যে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আর একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায়। বাকি পাঁচ খুনি এখনও পলাতক। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থান জানা গেলেও বাকি তিনজন কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শোকের মাস শুরু হওয়ায় ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে ১৬টি গাছ লাগান তিনি। পরে বলেন, পাঁচ খুনির মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আর কানাডায় আছেন নূর চৌধুরী। তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও সফল হচ্ছে না সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যে সব দেশে ফাঁসির হুকুম আছে, সেসব দেশে তারা পাঠাবে না। নূর চৌধুরীর অবস্থান কী সেখানে, সে কি কানাডার নাগরিক নাকি এখনও অবৈধ অভিবাসনকারী, সেটাও বলছে না তারা। ব্লিনকেনকে জিজ্ঞেস করি, কেসটা কতদূর। বলে, এতা অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে। এসব বলে পাশ কাটায়। আমেরিকার মতো দেশ যেখানে আইনের শাসনের বলবৎ আছে, যারা আইনের শাসনের জন্য সব সময় সোচ্চার; তেমন একটা দেশ একটা খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে দেশ মানবাধিকারের কথা বলে নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তাদের নিজেদের লজ্জা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, খুনিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে ওইসব সরকারের প্রটেকশনে। এটা দুঃখজনক ও হতাশাজনক। যারা মানবাধিকারের কথা বলে আত্মস্বীকৃত খুনিকে রক্ষা করে, এটা তাদের জন্য লজ্জা।
এদিকে খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের কোনো সন্ধান নেই। তারা কোথায় আছেন তার সুনিশ্চিত তথ্য নেই সরকারের কাছে। যদিও তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এসএইচ-০৭/০১/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)